বরিশাল জাদুঘরের সামনে ফুটপাতের ব্যবসায়ী আলম মিয়া বলেন, ‘আমরা বছরে দুই ঈদ ছাড়া শীত মৌসুমে বাড়তি ব্যবসা করার সুযোগ পাই। সারা বছর আবার এমন সুযোগ মেলে না।’ আরেক ব্যবসায়ী কবির হোসেন বলেন, গত বছরও শীতবস্ত্রের মার্কেট জমজমাট ছিল। তবে এবার শীতের শুরুতেই ক্রেতারা শীতের কাপড় কিনছেন। তাই বিক্রিবাট্টাও এবার তুলনামূলক বেশি। নগরের আলেকান্দা এলাকার বাসিন্দা শামীমা বেগম বলেন, ‘এবার একটু আগেভাগেই শীতের পোশাক কিনছি। বেশি শীত পড়লে তখন চাহিদা বেড়ে যায়, দামও তখন বেশি চান বিক্রেতারা। এখানে দরদাম করে, বেছে কেনা যায়।’
কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছর শীতে গরম কাপড়ের চাহিদা তুলনামূলক কম ছিল। এর পেছনে তাঁরা যুক্তি দেন, গতবার শীত কম ছিল। ফলে বিক্রি কম হওয়ায় তাঁরা লাভের মুখ দেখেননি। এবার শীত কিছুটা আগেভাগে এসেছে। এবার তাঁরা লাভের আশা করছেন। অস্ট্রেলিয়া সরকারের আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থা ব্যুরো অব মেট্রোলজি থেকে সম্প্রতি আগামী এপ্রিল পর্যন্ত আবহাওয়া কেমন যাবে, তার একটি পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এবার ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগর এলাকায় তাপমাত্রা কমবে। এর প্রভাবে এই বছর বাংলাদেশে শীতকাল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি দীর্ঘ হবে এবং শীতের তীব্রতা বেশি থাকতে পারে। বরিশাল আবহাওয়া বিভাগের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এবার শীতের স্থায়িত্ব দীর্ঘায়িত হতে পারে। এর মধ্যে উত্তরাঞ্চলে আগাম শীত চলে এসেছে। দক্ষিণাঞ্চলে তাপমাত্রা খুব একটা হ্রাস না পাওয়ায় শীত কম অনুভূত হচ্ছে। তবে অল্প দিনের মধ্যেই শীতের অনুভূতি তীব্র হবে।