বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী জাতিসংঘের স্বেচ্ছাসেবকদের অবদানের প্রশংসা করেছেন
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ এ ১২:২১ PM
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুইন লুইস আজ জাতিসংঘের স্বেচ্ছাসেবকদের অমূল্য অবদানের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস (আইভিডি) উদযাপনে, আসুন আমরা আদর্শকে গ্রহণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই, দায়িত্ব গ্রহণ করি ও আমাদের স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজগুলি করি। আসুন আমরা এই পুরস্কারের জন্য আশাবাদী হই যে- এটি বিশ্বকে আমাদের সকলের কাছে নিয়ে আসবে।’ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস (আইভিডি)-২০২৩ উপলক্ষ্যে ইউনাইটেড নেশনস ভলেন্টিয়ার (ইউএনভি) বাংলাদেশ ভার্চুয়ালি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আবাসিক সমন্বয়ক একথা বলেন। এবারের আয়োজনের প্রতিপাদ্য ছিল- ‘ইফ এভরিওয়ান ডিড’। প্রতিপাদ্যটিতে বৃহত্তর স্বার্থে স্বেচ্ছাসেবী কাজে সবাইকে জড়িত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সম্মিলিত শক্তির ওপর জোর দেয়া হয়েছে। আলোচনায় সরকারী কর্মকর্তা, জাতিসংঘের অংশীদার, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সুশীল সমাজ সংগঠন, একাডেমিয়া, যুব-নেতৃত্বাধীন সংগঠন এবং সারা দেশের স্বেচ্ছাসেবীদের একত্র করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. কামরুল হাসান। কামরুল হাসান বলেন, ‘এটি স্বেচ্ছাসেবকদের নিঃস্বার্থ প্রচেষ্টার পাশাপাশি অধিকতর অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়সঙ্গত ও সমৃদ্ধ বিশ্ব গঠনে তাদের ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেওয়ার দিন। আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবসটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে প্রচারে স্বেচ্ছাসেবীদের উল্লেখযোগ্য অবদানের প্রমাণ ।’ জাতিসংঘের স্বেচ্ছাসেবকদের (ইউএনভি) নির্বাহী সমন্বয়ক টয়লি কুরবানভএক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বলেছেন, “আজ আমি বিশ্বজুড়ে সমস্ত স্বেচ্ছাসেবকদের বলছি- বিশ্বকে উন্নত করার জন্য, কাজ করার অনুপ্রেরণা খোঁজার জন্য, সমাধান তৈরি করার জন্য ও আমাদের আশা বাঁচিয়ে রাখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। বিশ্বের কাছে আমাদের বার্তা হল- কল্পনা করুন, যদি আমরা স্বেচ্ছাসেবী কাজে যোগ দেই, তবে আমরা সবাই মিলে কী অর্জন করতে পারি।” এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ইউএনভি আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ক্রিশ্চিয়ান হেনজল ভার্চুয়েলি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবা পরিবর্তনের জন্য একটি অনুঘটক। এটা এমন এক শক্তি, যা সীমানা অতিক্রম করে সকল সম্প্রদায়কে একত্রিত ও মানুষের ক্ষমতায়ন করে।’ জাতিসংঘের ঢাকাস্থ কার্যালয়টি জানায়, বিশ্বব্যাপী এক বিলিয়নেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে এবং তাদের অর্ধেকই এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। তারা মানুষ এবং বিশ্বের সংহতি ও মানবতার জন্য কাজ করে। ২০২৩ সালের শুরু থেকে, বাংলাদেশে জাতিসংঘের এই কাজে ১৮০ টিরও বেশি জাতিসংঘের স্বেচ্ছাসেবক অবদান রেখেছে। এটি বাংলাদেশকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করছে। তারা সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ, শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য সেবা, সকলের প্রাথমিক শিক্ষায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি লিঙ্গ সমতা উন্নীত করা, গণতন্ত্র ও শান্তি বজায় রাখতে এবং জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত পরিস্থিতির সাথে টিকে থাকতেও সহায়তা করেছে। এছাড়াও তারা দারিদ্র্য বিমোচনের উদ্যোগকে সহায়তা দিয়েছে। ইউএনভি বাংলাদেশের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর সোনিয়া মেহজাবীন তার উপস্থাপনায় বিষয়টি তুলে ধরেন এবং আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবসের তাৎপর্য ও স্বেচ্ছাসেবক সম্পর্কে শ্রোতাদের অবহিত করেন। ইউএনভি বিশ্বের প্রায় ১৬০টি দেশে সক্রিয় এবং ১৭০ টিরও বেশি জাতিসত্বার প্রতিনিধিত্ব করে। বিশ্বব্যাপী ৫ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস (আইভিডি) পালিত হয়। স্বেচ্ছাসেবার শক্তি ও স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমের সম্ভাবনার আলোকে উদযাপনের লক্ষ্যে জাতিসংঘ ১৯৮৫ সালে দিনটিকে আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে গ্রহন করে।
মন্তব্য( ০ মন্তব্য)