ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করলেন করভি রাকসান্দ
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ এ ১২:২১ PM
রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কারে সম্প্রতি ভূষিত হয়েছে বাংলাদেশের জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাকসান্দ, যা দেশের জন্য একটি বিশেষ অর্জন। ইমার্জেন্ট লিডারশিপ ক্যাটাগরিতে রাকসান্দকে এই পুরস্কারটি দেয়া হয়েছে। পুরস্কারটি গ্রহণ করতে এবার ফিলিপাইনে গিয়েছেন করভি রাকসান্দ। পুরস্কার প্রদানের অনুষ্ঠানটি ১১ই নভেম্বর ম্যানিলায় মেট্রোপলিটন থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হয়। ম্যানিলার সময় অনুযায়ী বিকেল ৪:৩০টা থেকে সন্ধ্যা ৬:৩০টা পর্যন্ত এটি অনুষ্ঠিত হয়। (বাংলাদেশ সময় দুপুর ২:৩০টা থেকে বিকেল ৪:৩০টা) এ বছর বিভিন্ন বিভাগে মোট চারজনকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। যার মধ্যে বাংলাদেশের করভি রাকসান্দ সহ আরও রয়েছেন ভারতের রবি কান্নান আর., ফিলিপাইনের মিরিয়াম করোনেল-ফেরার, এবং পূর্ব তিমুরের ইগুয়েনিও লেমোস। এই বছরেই, ৩১শে আগস্ট সকালে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। আর এই নামের সারিতে বাংলাদেশের রাকসান্দ স্থান করে নেন সামাজিক এবং স্থিথিশীল উন্নয়নে তাঁর অবদানের জন্য। করভি রাকসান্দের হাতে পুরস্কারটি তুলে দেন চেয়ারম্যান, তৃতীয় অরেলিও আর. মন্টিনোলা এবং সিনেটর রামোন বি. ম্যাগসেসে, জুনিয়র। অনুষ্ঠানটিতে বক্তব্য রাখেন ২০০২ সালের রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কারপ্রাপ্ত দক্ষিণ কোরিয়ার দ্য ভেনারেবল পমনিয়ান সুনিম। সম্মানিত ব্যক্তিদের মধ্যে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ফিলিপাইনের ফার্স্ট লেডি খ্যাত লিজা অ্যারানেতা-মার্কোস। জাগো ফাউন্ডেশনের দূরদর্শী নেতৃত্বে সামাজিক পরিবর্তনে উদ্যোগী ভূমিকা রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার পেলেন করভি রাকসান্দ। জাগো ফাউন্ডেশন স্কুল এবং ভলেন্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি) প্রোগ্রামটি তাঁরই অধীনে পরিচালিত হয়। ভলেন্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি) সংগঠনে বর্তমানে ৫০,০০০ এরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচির জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। অন্যদিকে, জাগো ফাউন্ডেশন স্কুল শিক্ষার মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং সুবিধাবঞ্চিতদের সাহায্য প্রদানের লক্ষ্যে সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কারকে এশিয়ার নোবেল পুরস্কার বলা হয়। এ পুরস্কারটি সারা এশিয়া মহাদেশে সমাজের জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা হয়। এই পর্যন্ত মোট ৩৪৪ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তারা সবাই নিঃস্বার্থভাবে, সততা ও সাহসের সাথে মানবতার সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করেছেন। সেই কাতারে এবার যোগ দিলেন বাংলাদেশ থেকে রাকসান্দ। ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রামোন ম্যাগসেসের স্মরণে ১৯৫৭ সালে রকেফেলার ব্রাদার্স ফান্ড প্রবর্তন করে রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার। নিষ্ঠা, সাহস ও আত্মত্যাগের সাথে কাজ করার মধ্য দিয়ে যারা এশিয়াতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই পুরস্কারের আয়োজন। জাগো ফাউন্ডেশন সম্পর্কে জাগো ফাউন্ডেশন একটি অলাভজনক সংস্থা যা শিক্ষা, যুব উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, সুশ্বাসন এবং দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তি এবং সম্প্রদায়কে ক্ষমতায়ন করে। জাগো ফাউন্ডেশন শিক্ষা এবং স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়নের জন্য নিবেদিত। রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার সম্পর্কে রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার নেতৃত্ব, ন্যায়বিচার, পরিবেশ, স্বাস্থ্যসেবা এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী অবদানের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একটি বিশেষ সম্মান। ১৯৫৭ সালে রকেফেলার ব্রাদার্স ফান্ড দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই পুরষ্কারের লক্ষ্য জনসেবায় সততা উদযাপন করা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে, এটি ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, তাইওয়ান এবং শ্রীলঙ্কা সহ দেশগুলোর বেশ কিছু ব্যক্তি এবং সংস্থাকে পুরস্কৃত করছে। উল্লেখযোগ্য পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ, মাদার তেরেসা, দালাই লামা এবং সত্যজিৎ রায়।
মন্তব্য( ০ মন্তব্য)